গুগল(Google) এর জনপ্রিয় প্লাটফর্ম গুলো কি কি?

Tanvir Ahmmed
0

হ্যালো প্রযুক্তিপ্রেমীরা, আমরা এমন একটি সময় এ বসবাস করছি যখন আমাদের চারপাশে সবকিছুই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে। আমরা সর্বত্রই দেখতে পাচ্ছি বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার নিদর্শনগুলি। আর বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট(Internet) হচ্ছে প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। যার মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থান, এক দেশ থেকে অন্য দেশ, এমনকি ভিনগ্রহে ও এর আধিপত্য উপলব্ধি করা যায়।

Google

আর এই ইন্টারনেটে গুগল যে আধিপত্য ধরে রেখেছে তা আমরা সকলেই জানি। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই গুগলের প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে খুব অল্প সংখক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করি। গুগলের প্ল্যাটফর্ম গুলো নিয়ে Next Gen বাংলা এর আজকের আয়োজন "গুগল(Google) এর জনপ্রিয় প্লাটফর্ম গুলো কি কি?" থাকছে বিস্তারিত-


গুগলের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম গুলো হচ্ছে-

  • অ্যান্ড্রয়েড (Android)
  • অ্যান্ড্রয়েড অটো (Android Auto)
  • অ্যান্ড্রয়েড টিভি (Android TV)
  • গুগল ক্যালেন্ডার (Google Calendar)
  • গুগল ফাইন্যান্স (Google Finance)
  • ক্রোমবুক (Chromebook)
  • এক্সপিডিশনস (Expeditions)
  • গুগল ড্রইংস (Google Drawings)
  • গুগল চেকআউট (Google Checkout)
  • এডমব (AdMob)
  • এডওয়ার্ডস এডিটর (AdWords Editor)
  • গুগল ক্লাসরুম (Google Classroom)
  • ফায়ারবেস (Firebase)
  • জিমেইল (Gmail)
  • গুগল অ্যানালিটিক্স (Google Analytics)
  • গুগল কারেন্টস (Google Currents)
  • গুগল গ্রুপস (Google Groups)
  • গুগল ল্যাটিচুড (Google Latitude)
  • গুগল ম্যাপস (Google Maps)
  • গুগল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম (Google Marketing Platform)
  • গুগল নিউজ (Google News)
  • ইমেইল (Email)

এছাড়াও আরও বেশ কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে আপনি অথবা আমি অবগত নই। যাই হোক যে সমস্ত প্লাটফর্ম গুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাহলে চলুন সেই সমস্ত প্ল্যাটফর্ম গুলোর কাজ কি সে সম্পর্কে জেনে নেই।


অ্যান্ড্রয়েড (Android)

আমরা সবাই কম বেশি এন্ড্রয়েড(Android) নামটির সাথে পরিচিত। এটি একটি ওপেন সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এন্ড্রয়েড(Android) হল গুগল(Google) এর সব থেকে জনপ্রিয় ওপেন সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম।


Android এর যাত্রা শুরু হয় অ্যান্ডি রুবিন(Andy Rubin), রিচ মাইনার(Rich Miner), নিক সিয়ারস(Nick Sears) এবং ক্রিস হোয়াইট(Chris White) এর "Android Inc." নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ২০০৫ সালে গুগল "Android Inc" অধিগ্রহণ করে এবং ২০০৮ সালে প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ফোন HTC Dream (T-Mobile G1) বাজারে আসে। এখন পর্যন্ত সর্বাধিক ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম এর স্থান দখল করে আছে। বর্তমানে Android এর অনেক ভার্সন আছে।


অ্যান্ড্রয়েড অটো (Android Auto)

অ্যান্ড্রয়েড অটো (Android Auto) হল একটি সফটওয়্যার প্লাটফর্ম যে প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে মোবাইল ফোন এবং কার/গাড়ি সংযোগ স্থাপন করে ড্রাইভার কে ম্যাপ সহ অন্যান্য ফিচার সুবিধা দিয়ে থাকে। ২০১৪ সালে গুগল(Google) প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড অটো(Android Auto) উন্মোচন করে। অ্যান্ড্রয়েড অটো-এর ফিচার গুলো হচ্ছে -ডার্ক মোড ও ইন্টারফেস কাস্টমাইজেশন,ওয়্যারলেস সংযোগ কল ও মেসেজিং,মিউজিক ও অডিও,গুগল ম্যাপস ও নেভিগেশন,ভয়েস কন্ট্রোল


অ্যান্ড্রয়েড টিভি (Android TV)

বন্ধুরা আমরা সবাই যেহেতু android নামটির সাথে পরিচিত সেহেতু বুঝতেই পারছেন যে একটি এন্ড্রোয়েড(Android) মোবাইল ফোনে যে সব ফিচার থাকে সে সকল ফিচার একটি টিভিতে প্রদানের লক্ষে ২০১৪ সালে গুগল(Google) অ্যান্ড্রয়েড টিভি প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করে। গুগল টিভি এর প্রধান ফিচার গুলো হলো -গুগল প্লে স্টোর, স্ট্রিমিং সাপোর্ট,গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট,Chromecast Built-in, 4K, HDR, Dolby Vision সাপোর্ট।


গুগল ক্যালেন্ডার (Google Calendar)

গুগল(Google) ক্যালেন্ডার (Google Calendar) হলো গুগলের একটি বিনামূল্যের ক্লাউড-ভিত্তিক ক্যালেন্ডার অ্যাপ(App),এটি ওয়েব(Web) এবং মোবাইল(Mobile) উভয় প্ল্যাটফর্মেই কাজ করে। ২০০৬ সালের ১৩ এপ্রিল গুগল(Google) ক্যালেন্ডার প্রথমবার চালু হয়। এর ফিচার গুলো হচ্ছে -অটো-সিঙ্কিং(Auto-syncing), Google Meet ইন্টিগ্রেশন,মাল্টিপল ক্যালেন্ডার সাপোর্ট, নোটিফিকেশন ও রিমাইন্ডার ইত্যাদি।


আপনি চাইলে এটি ফ্রি তে ব্যবহার করতে পারেন , তবে এর কিছু প্রিমিয়াম ফিচার ও রয়েছে। যেমনঃ Microsoft Outlook Calendar ইত্যদি।


গুগল(google) ক্যালেন্ডার এর একটি বড় অসুবিধা হল ইন্টারনেট(Internet) কানেকশন ছাড়া কাজ করে না।


গুগল ফাইন্যান্স (Google Finance)

ব্যবহারকারীদের শেয়ারবাজার(stock market), বিনিয়োগ(investment), অর্থনীতি(Economic) এবং কোম্পানির আর্থিক তথ্য পর্যবেক্ষণ এর সহযোগিতার লক্ষে ২০০৬ সালে গুগল(Google) গুগল ফাইন্যান্স(Google Finance) চালু করে।


গুগল ফাইন্যান্স(Google Finance) এর জনপ্রিয় ফিচার গুলো হলো -পোর্টফোলিও ট্র্যাকিং, কোম্পানির আর্থিক তথ্য, নিউজ ও ট্রেন্ডস(News and Trends), মুদ্রার বিনিময় হার, কম্প্যারিজন টুল(Comparison Tools) ইত্যাদি।


ক্রোমবুক (Chromebook)

ক্রোমবুক (Chromebook) মূলত ক্লাউড-ভিত্তিক কম্পিউটিংয়ের জন্য ডিজাইন করা একটি অপারেটিং সিস্টেম যা ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট এ কাজ করতে পারে।


ক্রোমবুক (Chromebook) যাত্রা শুরু করে ২০১১ সালে এবং প্রথম ক্রোমবুক মডেল ছিল Samsung Series 5 এবং Acer Chromebook। দ্রুতগতি এবং লম্বা ব্যাটারি লাইফ ক্রোমবুকে(Chromebook) এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। ছাত্র-ছাত্রী, দপ্তর ও অফিস কাজ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও বিনোদন,ভ্রমণকারীদের জন্য ক্রোমবুক(Chromebooks) বেশ জনপ্রিয়।


এক্সপিডিশনস (Expeditions)

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহী করে তোলার জন্য গুগল ২০১৫ সালে গুগল এক্সপিডিশনস (Google Expeditions) চালু করে। গুগল এক্সপিডিশনস (Google Expeditions) হলো একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি(Virtual reality) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (Augmented reality) ভিত্তিক শিক্ষামূলক অ্যাপ।



গুগল ড্রইংস (Google Drawings)

২০১০ সালে গুগল প্রথমবারের মতো গুগল ড্রইংস(Google Drawings) চালু করে গুগল। গুগল ড্রইংস(Google Drawings) Google Drive-এর সাথে সংযুক্ত তাই ইচ্ছে মতো ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। মূলত গুগল ড্রইংস(Google Drawings) এর মাধ্যমে ফ্লোচার্ট(flowcharts), মাইন্ড ম্যাপ(mind maps), ইনফোগ্রাফিক(infographics), পোস্টার(Posters) ইত্যাদি ডিজাইন খুব সহজে করা এবং সংরক্ষণ করা যায়।


গুগল চেকআউট (Google Checkout)

গুগল চেকআউট (Google Checkout) হলো গুগলের একটি অনলাইন পেমেন্ট(Payment) প্রসেসিং সার্ভিস সিস্টেম। মূলত ই-কমার্স(E-Commerce) ওয়েবসাইটগুলোর জন্য তৈরী করা হয়েছিল। গুগল চেকআউট (Google Checkout) ব্যবহারকারীদের ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে নিরাপদে অনলাইনে পেমেন্ট করার সুবিধা দেয়। যা কিনা পরবর্তীতে PayPal এর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে। গুগল চেকআউট (Google Checkout)এর নাম বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে Google Pay নামে পরিচিতি লাভ করে।


এডমব (AdMob)

এডমব (AdMob) এর পূর্ণ অর্থ হল Advertisement on Mobile. এডমব (AdMob) অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন দেখিয়ে এটি আয় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে এডমব (AdMob)।


২০০৬ সালে AdMob প্রতিষ্ঠাত হয়। তবে ২০১০ সাল থেকে এটি গুগলের অফিশিয়াল মোবাইল অ্যাডভার্টাইজিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ শুরু করে। বর্তমানে এপ্লিকেশন ডেভলোপেরদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকা জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাড নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে একটি হলো AdMob।


এডমব (AdMob) এর বিশেষ সুবিধা হচ্ছে -সহজ ইন্টিগ্রেশন, Ad Mediation সুবিধা, ফ্রি এনালিটিক্স ও রেভিনিউ রিপোর্টিং, উচ্চ CPM রেট এছাড়াও গুগলের বৃহত্তম অ্যাড নেটওয়ার্ক প্রচুর বিজ্ঞাপনদাতা থাকায় বেশি আয় করা যায়। বর্তমানে লক্ষ্য লক্ষ্য বেকার তাদের উপার্জন(Earning) এর এক মাত্র উপায় হিসেবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।


এডওয়ার্ডস এডিটর (AdWords Editor)

এডওয়ার্ডস এডিটর(AdWords Editor) হলো গুগলের তৈরি একটি অফলাইন(Ofline) টুলস। মূলত বিজ্ঞাপনদাতাদের Google Ads ক্যাম্পেইন কাস্টমাইজ করার সুবিধা প্রদান করে। এডওয়ার্ডস এডিটর(AdWords Editor) এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো-দ্রুত ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট(Campaign management), অফলাইন এডিটিং করা(Offline Editing), একই সাথে একাধিক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা যায়।


গুগল ক্লাসরুম (Google Classroom)

গুগল ক্লাসরুম (Google Classroom) নামটি শুনেই বুঝা যাচ্ছে যে এটি একটি অনলাইন ক্লাস রুম, মানে পড়াশুনা বিষয়ক একটি প্লাটফর্ম। হাঁ বন্ধু রা এটি একটি ফ্রি অনলাইন লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (LMS) এটি শিক্ষক(Teachers) এবং শিক্ষার্থীদের(students) জন্য একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।


গুগল ক্লাসরুমের(Google Classroom ) সুবিধা হচ্ছে- সম্পূর্ণ ফ্রি এবং বিজ্ঞাপনমুক্ত,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের সুবিধা রয়েছে , অনলাইন ও অফলাইন লার্নিং করা যায় , Google Drive, Docs, Sheets, Slides-এর সাথে ইন্টিগ্রেশন থাকায় এক্সেল পাওয়ারপয়েন্ট এর কাজ গুলো করা যায় এবং সংরক্ষণ করা যায়।


ফায়ারবেস (Firebase)

ফায়ারবেস (Firebase) হচ্ছে ক্লাউড ভিত্তিক একটি ব্যাকএন্ড প্লাটফর্ম। যার মাধ্যমে একটি এপ্লিকেশন এর ব্যাকএন্ড(Back-end ) ডেভেলপমেন্টকে সহজ করে এবং রিয়েল টাইম নোটিফিকেশন(Notifications), অথেনটিকেশন(Authentication), ক্লাউড ফাংশন, হোস্টিং(Hosting), স্টোরেজ(Storage) ইত্যাদি সার্ভিস প্রদান করে।


ফায়ারবেসের(Firebase) প্রধান ফিচারসমূহ হচ্ছে - অথেনটিকেশন,Cloud Storage,Hosting,Push Notification, এছাড়া ওয়েব এপ্লিকেশন এবং এপ্লিকেশন SDK ইন্টিগ্রেট সুবিধা রয়েছে।


জিমেইল (Gmail)

জিমেইল (Gmail) এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত আছি। তবুও বলে রাখা ভালো, জিমেইল (Gmail)গুগল এর এমন একটি সেবা যার মাধ্যমে বার্তা পাঠানো, বার্তা গ্রহণ এবং সংরক্ষণ করা যায়। প্রত্যেক ব্যবহারকারী ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ পেয়ে থাকে।


জিমেইল (Gmail) এর সবচেয়ে বড়ো সুবিধা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্প্যাম(Spam), ফিশিং এবং ম্যালওয়্যারযুক্ত(Malware) ইমেইল গুলো ব্লক করে দেয়। জিমেইল (Gmail) এর এই পরিষেবা ২০০৪ সালে শুরু করে গুগল(Google)


গুগল অ্যানালিটিক্স (Google Analytics)

গুগল অ্যানালিটিক্স (Google Analytics) এটি গুগলের একটি শক্তিশালী ওয়েব অ্যানালিটিক্স টুলস। এই Analytics টুলস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট বা অ্যাপের ট্রাফিক এবং Traffic এর আচরণবিধি বিশ্লেষণ করা যায়। আর আমরা যারা ডিজিটাল মার্কেটিং, ইকমার্স ব্যবসার সাথে জড়িত তারা জানি যে এরকম একটি Analytics টুলস কতটা গুরুত্ব রাখে।


গুগল তাদের এই অ্যানালিটিক্স(Analytics) পরিষেবাটি ২০০৫ সাল থেকে দিয়ে আসছে। গুগল অ্যানালিটিক্সে(Google Analytics) এর ফিচারসমূহ হচ্ছে -ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ট্রাফিক বিশ্লেষণ, ট্রাফিক সোর্স চেক করা, রিয়েল-টাইম ডাটা মনিটরিং করা যায় এছাড়া আরো অসংখ্য সুবিধা রয়েছে।


গুগল কারেন্টস (Google Currents)

মূলত যোগাযোগ করা, সহযোগিতা এবং আলাপ-আলোচনা করার জন্য গুগল কারেন্টস(Google Currents) তৈরী করা হয়েছিল। কিন্তু গুগল কারেন্টস (Google Currents) আশা সুলভ ফল আনতে পারেনি। তাই এই প্লাটফর্ম বন্ধ করতে বাধ্য হয় গুগল(Google), গুগল কারেন্টসের(Google Currents) বর্তমানে Google Spaces এর সাথে একত্রে কাজ করছে।


গুগল গ্রুপস (Google Groups)

ইমেইল সিস্টেম এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার সহজ তুর মাধ্যম হচ্ছে গুগল গ্রুপ। ফাইল শেয়ারিং,আলোচনা থ্রেড,পাবলিক এবং প্রাইভেট গ্রুপ,পাবলিক এবং প্রাইভেট গ্রুপ,ইমেইল আলোচনা,গ্রুপ তৈরির জন্য ভার্চুয়াল কমিউনিটি অর্থাৎ গুগল গ্রুপস (Google Groups) পরিষেবা চালু করে গুগল। বর্তমানে গুগল গ্রূপস এর ইন্টারফেস আরো সহজতর করা হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারে।


গুগল ল্যাটিচুড (Google Latitude)

২০০৯ সালে সর্বপ্রথম গুগলেই পরিষেবাটি চালু করে যার ফলে একজন ব্যবহারকারী তার বর্তমান লোকেশন অন্য আরেকজন অর্থাৎ তার পরিবার কিংবা বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। বর্তমানে এটি গুগল ম্যাপস এর সাথে ইন্টিগ্রেড করা হয়েছে। গুগল ল্যাটিচুডের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-বন্ধুদের অবস্থান দেখা,অটো আপডেট,ওপেন পজিশন শেয়ারিং।


গুগল ম্যাপস (Google Maps)

google ম্যাপস এর সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। আমাদের দৈনন্দিন দূরদূরান্তে ট্রাভেলের সময় আমরা অবশ্যই গুগল ম্যাপস ব্যবহার করি।


গুগল ম্যাপের খুবই কার্যকরী ফিচারগুলো হচ্ছে-নেভিগেশন (Navigation),অফলাইন ম্যাপস,পাবলিক ট্রান্সপোর্টের তথ্য,ট্রাফিক আপডেট,ব্যবসার তথ্য ইত্যদি। অন্যদের কথা বাদই দিলাম আমি নিজেও google ম্যাপ ছাড়া অপরিচিত কোন শহরে গিয়ে অলিগলি খুজে পাইনা।

আপনার জন্য আরও চমৎকার পোস্ট:

আপনার যদি এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে, তবে আমাদের অন্যান্য পোস্টগুলো দেখুন। সেখানে আপনার পছন্দের আরও অনেক কিছু পাবেন! 😊


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!
To Top